গঠনতন্ত্র

বিপিডিসির গঠনতন্ত্র/ সংবিধান

বাংলাদেশ প্যারামেডিকেল এন্ড ডিপ্লোমা কাউন্সিল (বিপিডিসি)
একটি পেশাজীবি সংগঠন ।এটি একটি সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক, অলাভজনক একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। এই দেশ আমাদের, এই দেশের প্রতিটি নাগরিক আমাদের সহোদর । তাই এই দেশের উন্নয়নে , এই দেশের মানুষের সেবায় কাজ করতে হবে আমাদের সকলকে । নিজের মানসিকতা , দায়িত্ববোধ এবং কর্তব্য থেকেই সকলকে এগিয়ে আসা উচিৎ আর্তমানবতার সেবাই। দেশ স্বাধীনের পর থেকে সারাদেশে গ্রাম গঞ্জে শহর বা লোকালয়ে নিরলস ভাবে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করে আসছে দেশের আটষট্টি হাজার গ্রাম বাংলার অবহেলিত দশ থেকে বার লক্ষ পল্লী ও প্যারামেডিক্স চিকিৎসকগন। দেশের ৭০/৭৫ পার্সেন্ট চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করে এই অসহায় পল্লী ও প্যারামেডিক্স চিকিৎসকরা। প্রসংগত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন গ্রামীণ স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করে গ্রাম ডাক্তারগন।
এমনি প্রেক্ষাপটে আমরা সারাদেশ থেকে কয়েকজন সচেতন পল্লী ও প্যারামেডিক্স চিকিৎসকগন একটি পেশাজীবি সংগঠন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দেশের আটটি বিভাগের সমন্বয়ে পল্লী ও প্যারামেডিক্স চিকিৎসকদের উদ্বুদ্ধ করে সুসংগঠিত করি। আর এভাবেই ২০২১ সালের ১৫ জুনে সচেতন পল্লী ও প্যারামেডিক্স চিকিৎসকদের সক্রিয় উদ্যোগে পেশাজীবি সংগঠন বাংলাদেশ প্যারামেডিকেল ডাক্তার কাউন্সিল(বিপিডিসি) পদযাত্রা শুরু হয়।

বাংলাদেশ প্যারামেডিকেল এন্ড ডিপ্লোমা কাউন্সিল (বিপিডিসি) অবহেলিত দেশের আটষট্টি হাজার গ্রাম বাংলার পল্লী ও প্যারামেডিক্স চিকিৎসকদের বৃহত জনগোষ্ঠীর অধিকার আদায়ে, আমরা নিরলশ ভাবে কাজ করে যাচ্ছি। অপচিকিৎসা বন্ধ করে সুচিকিৎসা বাস্তবায়নে লড়ে যাচ্ছি। এন্টিবায়োটিক ও স্টেরয়েড এর অপব্যবহার বন্ধ করে ঐকবদ্ধ হয়ে রাষ্ট্র্রীয় স্বীকৃতি আদায়ে লক্ষে সারাদেশের নন গ্রাজুয়েট চিকিৎসক দের সমন্বয়ে একযোগে কাজ করে যাচ্ছি সেই সাথে ভুয়া পল্লী ও প্যারামেডিক্স চিকিৎসকদের সনাক্ত করে তাদেরকে নূন্যতম সংশ্লিষ্ট বিষয়ে রিফ্রেশার ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করে কর্ম উপযোগী হিসেবে গড়ে তোলার কাজ করে যাচ্ছি। সহযোগীতা হিসেবে পেশাগত দায়িত্ব অব্যাহত রাখতে ও তাদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে শুরু থেকেই, কাজ করে যাচ্ছি। যা সব সময় অব্যাহত থাকবে।

অনুচ্ছেদ-১

নামকরণ :
এই সংগঠন ‘ বাংলাদেশ প্যারামেডিকেল এন্ড ডিপ্লোমা কাউন্সিল(বিপিডিসি)
ইংরেজীতে “Bangladesh Paramedical And diploma Council(bpdc) নামে অভিহিত হবে।
সংগঠনের বার্তা হবে- “নিরাপদ প্রাকটিস আমাদের নাগরিক অধিকার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি বিপিডিসি এর অঙ্গিকার

অনুচ্ছেদ-২

কার্যালয় :
সংগঠনের কার্যালয় ঝিনাইদহ জেলার শহরস্থ আরাপপুর ঢাকা রোডে সেবা ক্লিনিকের ২ য় তলায় অবস্থিত ।

অনুচ্ছেদ-৩

মনোগ্রাম :
সংগঠনের নিজস্ব মনোগ্রাম আছে –

অনুচ্ছেদ-৪
সংগঠনের ধরণ :
একটি পেশাজীবি সংগঠন ।এটি সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক, অলাভজনক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।

অনুচ্ছেদ-৫
সদস্য:
কেবল মাত্র সরকার অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান হতে এক বছরের প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত সংগঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য, গঠনতন্ত্রের সাথে সমমনা চিকিৎসকগন এ সংগঠনের সদস্য হতে পারবে।
বাংলাদেশ প্যারামেডিকেল ডাক্তার কাউন্সিল (বিপিডিসি) এর সদস্য হওয়ার শর্ত :
১. যেহেতু আমরা পেশাজীবি হিসাবে কাজ করব, নিজ স্বার্থ হাসিল করার জন্যে ‘বাংলাদেশ প্যারামেডিকেল ডাক্তার কাউন্সিল (বিপিডিসি) সাথে যুক্ত হওয়া যাবে না।
২. কোন প্রকার ব্যক্তিগত, রাজনৈতিক, ধর্মীয় প্রভাব বিস্তার করা যাবে না।
৩. বাংলাদেশ প্যারামেডিকেল ডাক্তার কাউন্সিল (বিপিডিসি)’ র কাজে বাধা সৃষ্টি করে এমন কর্মকান্ড ঘটানো যাবে না।
৪. নিজ নিজ দায়িত্ব ও সময়ের সঠিক ব্যবহার করতে হবে।
৫. নিজেদের ভিতর কোন বিষয় নিয়ে গ্রুপিং করা যাবে না।
৬. নিজেদের কোন ব্যক্তিগত সমস্যা নিয়ে টিমে প্রভাব ফেলা যাবে না।
৭. কোনো সদস্য যদি অন্য যে কোন সংগঠনের সদস্য হয়, তবে তার প্রভাব ‘(বিপিডি)’তে বিস্তার করা যাবে না।
৮. কোন সদস্য আইন বিরোধী কাজে লিপ্ত থাকলে, তার দায়ভার ‘বিপিডিএস অথবা অন্যান্য সদস্যগন গ্রহণ করবে না।
৯. সকল সদস্যই একে-অপরের ভাই-বোন সমতুল্য, নিজেদের ভিতর একাত্মতা ও সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হবে, আচার-আচারণ মার্জিত ও রুচিশীল হতে হবে।
১০. নির্বাহী পরিষদ যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে তা সকল সদস্যকে অবশ্যই মানতে হবে। তবে ঐ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যদি কোন সদস্য কোন অভিমত থাকে, তাহলে সে তার অভিমত প্রকাশ করতে পারবে। যৌক্তিক হলে তা অবশ্যই ভেবে দেখা হবে।
১২. যেকোন ইভেন্ট বা মিটিং-এ অবশ্যই উপস্থিত হতে হবে।

অনুচ্ছেদ-৬
সদস্য পদ বাতিলের/স্থগিতের নিয়মাবলী :
১. যদি কোন সদস্য স্বেচ্ছায় সঠিক ও উপযুক্ত কারণ উল্লেখ করে লিখিত আকারে পদত্যাগ করেন।
২. যদি মানসিক ভারসাম্য হারান।
৩. যদি সংগঠনের গঠনতন্ত্র ও স্বার্থের পরিপন্থী কোন কাজ করেন বা তার স্বভাব আচার-আচরণ সংস্থার পরিপন্থী হয়।
৪. যদি দায়িত্ব ও কর্তব্য যথারীতি পালন না করেন বা সংগঠনের কাজে নিষ্ক্রিয় ও অকর্মণ্য হয়ে পরেন।
৫. প্রাসঙ্গিক কারণে কোন সদস্যকে বহিষ্কার করার এখতিয়ার সংগঠনের প্রধান ব্যক্তিগণ সংরক্ষণ করেন।

সাংগঠনিক কাঠামোঃ

সংগঠনের চার স্তর বিশিষ্ট সাংগঠনিক কাঠামো নিন্মরুপঃ

(ক) উপদেষ্টা পরিষদ

(খ) নির্বাহী পরিষদ

(গ) কার্যনির্বাহী পরিষদ


অনুচ্ছেদ-৭
সাংগঠনিক কাঠামো :
কার্যকারী পরিষদের গঠন কাঠামো
১। সভাপতি ১ জন
২। সহ-সভাপতি ৯ জন
৩। সাধারণ সম্পাদক ১ জন
৪। সহ-সাধারণ সম্পাদক ৭ জন
৫। সাংগঠনিক সম্পাদক ১ জন
৬। সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ৫ জন
৭। প্রচার সম্পাদক ১ জন
৮। সহ-প্রচার সম্পাদক ৩ জন
৯। অর্থ সম্পাদক ১ জন
১০। সহ-অর্থ সম্পাদক ২ জন
১১। শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ১ জন
১২। সহ-শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ৩ জন
১৩। সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ১ জন
১৪। সহ-সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ৩ জন
১৫। পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ১ জন
১৬। সহ-পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ৩ জন
১৭। তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ১ জন
১৮। সহ-তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ৩ জন
১৯। সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক ১ জন
২০। সহ-সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক ৩ জন

অনুচ্ছেদ-৮
কার্যনির্বাহী কমিটির দায়িত্ব, কার্যাবলী এবং যোগ্যতা :
সভাপতি
১। সংগঠনের প্রধান হিসেবে বিবেচিত হবেন।
২। সংগঠনের সকল সভায় সভাপতিত্ব করবেন।
৩। সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্বে থাকবেন।
৪। সভাপতির স্বাক্ষর ছাড়া কোন প্রস্তাবই অনুমোদিত হবে না।
৫। সভাপতি সভা পরিচালনার পূর্ণ দায়িত্বে থাকবেন।
৬। সংগঠনের স্বার্থে ও কল্যাণে যে কোন প্রকার দায়িত্ব পালন করবেন।
৭। কোন সভায় যে কোন সিদ্ধান্তের ব্যাপারে সম-সংখ্যক ভোট পরলে সভাপতি একটি কাষ্টিং ভোট প্রদান করবেন।
৮। বিশেষ প্রয়োজনে জরুরী সভা আহ্বান করবেন।
৯। নির্বাহী পরিষদের সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে সংগঠনের করণীয় ও কার্যাবলী নির্ধারণ করবেন।
১০। বিশেষ প্রয়োজনে সহ -সভাপতিদের সহযোগিতায় সংগঠনের গঠনতন্ত্র সংশোধন, পরিবর্তন ও পরিমার্জন এর ক্ষমতা বহন করেন।
সহ-সভাপতি
১। সংগঠনের দ্বিতীয় প্রধান ব্যক্তি হিসেবে বিবেচিত হবেন।
২। সভাপতির সকল কাজে সহযোগিতা করবেন।
৩। সভাপতির অনুপস্থিতিতে সভায় সভাপতিত্ব করবেন।
৪। সংগঠনের উপ-নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্বে থাকবেন।
৫। সভাপতির মতই গঠনতন্ত্র অনুসারে সিদ্ধান্ত দিতে পারবেন।
৬। সংগঠনের গঠনতন্ত্র সংশোধন,পরিবর্তন ও পরিমার্জনে সহায়তা করবেন।
সাধারণ সম্পাদক
১। নির্বাহী পরিষদের নিকট সংগঠনের কার্য সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য দায়ী থাকবেন।
২। সকল প্রকার যোগাযোগ, চিঠি লেখা ও চিঠিপত্র ইস্যুর ক্ষেত্রে তিনি স্বাক্ষর প্রদান করবেন।
৩। সংগঠনের কার্যক্রম, কর্মসূচি ও প্রকল্প প্রস্তাবনা ও বাস্তবায়ন এবং নির্বাহী পরিষদের সদস্য/সদস্যাদের সাথে সমন্বয় সাধন করবেন।
৪। সংগঠনের সকল প্রকার চিঠিপত্র,কাগজপত্র, তথ্য ও দলিল রক্ষণাবেক্ষণ করবেন।
৫। প্রশাসন , প্রকল্প তৈরি, বাজেট তৈরির কার্যক্রম বাস্তবায়ন ও মূল্যায়নে সহযোগীতা করবেন।
৬। সকল ধরণের সভার কার্যবিবরণী লিপিবদ্ধ রাখার ব্যবস্থা করবেন।
৭। সংগঠনের সার্বিক সকল নির্বাহী ও সাধারণ সদস্যদের সাথে যোগাযোগ আলাপ-আলোচনা এবং পরামর্শ বজায় রাখবেন। সংগঠনের বার্ষিক রিপোর্ট ও বাজেট পেশ করবেন।
৮। সভাপতির সাথে আলোচনা করে সভা আহ্বানের দিন ,তারিখ, সময় ও স্থান নির্ধারণসহ আলোচ্যসূচী উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তি বিতরণের ব্যবস্থা করবেন।
৯। নির্বাহী পরিষদ কর্তৃক অর্পিত যে কোন দায়িত্ব পালন করবেন।
সহ-সাধারণ সম্পাদক
১। সাধারণ সম্পাদকের সকল কাজে সহায়তা প্রদান করবেন।
২। সাধারণ সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে তার সকল দায়িত্ব পালন করবেন।
৩। নির্বাহী পরিষদ প্রদত্ত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করবেন।
সাংগঠনিক সম্পাদক
১। সংগঠনের কার্যক্রমকে গতিশীল রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
২। সংগঠনের কার্যক্রমে স্থীরতা প্রকাশ পেলে এর কারণ নির্ণয় করে তা দূরীকরণের জন্য সভাপতি/ সাধারণ সম্পাদকের সাথে আলোচনাপূর্বক করণীয় নির্ধারণ করবেন।
৩। সংগঠনের কোন সদস্যের অনুপস্থিতি বা সংগঠনের স্বার্থ বিরোধী কোন কাজ নির্ণয় এবং সমস্যাসমূহ দেখে সংগঠনের স্বার্থে সবাইকে তা অবহিত করবেন।
৪। সাংগঠনিক সম্পাদক সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য সর্বদা নিয়োজিত থাকবেন।
৫। সংগঠন কোন হুমকির শিকার হলে সেটি সভাপতিকে অবগত করবেন।
৬। সংগঠনের শৃঙ্খলা এবং ব্যাপ্তি ঘটানোর জন্য নিবেদিত প্রাণ হিসেবে কাজ করাই তার প্রধান কাজ।
সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক
১। সাংগঠনিক সম্পাদকের কাজে সহযোগিতা করাই সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকের কাজ।
২। সাংগঠনিক সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে তিনি সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

প্রচার সম্পাদক
১। সংগঠনের বিকাশ সাধনের জন্য সংগঠন হতে ঘোষিত প্রচারপত্র , পোস্টার এবং বক্তব্য অত্র সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে পৌছে দেয়া প্রচার সম্পাদকের কাজ।
২। সংগঠন হতে সকল প্রকার প্রকাশনার ডিজাইন, তথ্য সংগ্রহ, প্রুফ দেখা সম্পন্ন করে থাকবেন।
৩। সংগঠনের বাহ্যিক প্রচারে বেশি গুরুত্ব দিয়ে বিভিন্ন প্রস্তাব নির্বাহী সভায় উপস্থাপন করবেন।
৪। প্রয়োজন অনুযায়ী সংবাদ সম্মেলন ও গোলটেবিল আলোচনার ব্যবস্থা করবেন।
৫। সংগঠনের বিভিন্ন অনুষ্ঠান বা কার্যক্রমের সময় সারা দেশব্যাপি প্রচারের ব্যবস্থা করা এবং তা যথাযথ ভাবে হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখবেন।
৬। বিভিন্ন সামাজিক গণমাধ্যমে সংগঠনের প্রচারণার দায়িত্বও তার অধীনে।
৭। সংগঠনের বিভিন্ন খবর পত্রিকায় প্রকাশের ব্যবস্থা করা তার দায়িত্ব।
অর্থ সম্পাদক
১। সংগঠনের আয়-ব্যয়ের সঠিক হিসাব রাখা, সংগৃহীত অর্থ যাতে সংগঠনের স্বার্থে ব্যয় হয় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখা অর্থ সম্পাদকের মূল কাজ।
২। সংগঠনের সদস্যদের হতে মাসিক ফি সংগ্রহ, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিবর্গ হতে অনুদান গ্রহণ তার দায়িত্ব।
৩। তিনি সংগঠনের অর্থের ভবিষ্যৎ উৎস চিহ্নিত করে নির্বাহী পরিষদের সভায় পেশ করবেন।
৪। বার্ষিক অর্থনৈতিক রিপোর্ট করবেন এবং অনুমোদনের জন্য বার্ষিক সভায় পেশ করবেন।
৫। সংগঠনের সকল প্রকার আর্থিক বিষয়ে দায়িত্ব পালন করবেন।
৬। সংগঠনের তহবিল বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা রাখবেন।
৭। সংগঠনের জমা খরচের হিসাব-নিকাশ সংক্রান্ত যাবতীয় ব্যাপারে অর্থ সম্পাদক সাধারণভাবে দায়ী থাকবেন।

শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক
১। শিক্ষাসংক্রান্ত যেকোন কাজে পরিচালনার দায়িত্ব নিবেন।
২। শিক্ষার প্রসারে ভূমিকা পালন করবেন।

দপ্তর সম্পাদক
১। সংগঠনের সমস্ত তথ্য, রিপোর্ট,চিঠিপত্র,দপ্তর ও সংস্থাপন সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় সংরক্ষণ করবেন।
২। সকল সভা কার্য দিবসের নোটিশ সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকের অনুমতি সাপেক্ষে সকল সদস্যকে অবহিত করবেন।
৩। সংগঠনের বিভিন্ন সভা/অনুষ্ঠানে আগত ব্যক্তি/অতিথীদের বক্তব্য/মতামত লিপিবদ্ধ করে প্রেস রিলিজ আকারে তা জনসম্মুখে প্রকাশ করবেন।
৪। সংগঠনের সকল প্রকার প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি নিজ দায়িত্বে সংরক্ষণ করবেন।
সমাজ কল্যাণ সম্পাদক
১। মানুষের সাথে পরিচিতি বাড়াবেন।
২। সমাজের নানা অসঙ্গতি সংগঠনের সভায় তুলে ধরবেন।
৩। সমাজের জন্য কল্যাণকর পদক্ষেপ গ্রহণে কার্যনির্বাহী পরিষদকে সহায়তা করবেন।
শিক্ষা সাংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক
১। শিক্ষাসংক্রান্ত যেকোন কাজে পরিচালনার দায়িত্ব নিবেন।
২। শিক্ষার প্রসারে ভূমিকা পালন করবেন।
৩। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্ব নিবেন।
৪। বিভিন্ন ঐতিহাসিক দিবস উদযাপনের উদ্যোগ নিবেন।
আইন বিষয়ক সম্পাদক
১। সংগঠনের আইনবিভাগ পরিচালনা করবেন।
২। সংগঠনের সদস্যগণ গঠনতন্ত্র মেনে চলছে কিনা সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন।
৩। সংগঠন কোন আইনসংক্রান্ত নোটিশ পেলে তা সভাপতিকে অবহিত করবেন।
তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক
১। সংগঠনের উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন প্রকার তথ্য সংগ্রহ করবেন এবং সভাপতি/সাধারণ সম্পাদককে জানাবেন।
২। বিভিন্ন বিষয়ে উন্নত গবেষণা করে আর্টিকেল তৈরি করবেন।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক
১। সংগঠনের কার্যক্রমকে ডিজিটালাইজ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
২। সংগঠনকে আরো বেশী প্রযুক্তি নির্ভর করার জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও নির্বাহী সভায় উপস্থাপন করবেন।
৩। সংগঠনের কার্যক্রমকে ইন্টারনেটে প্রতিনিয়ত প্রচার করা ও আপডেট করবেন ।
৪। সংগঠনের ওয়েবসাইটকে প্রতিনিয়ত ওয়াপে আপডেট করবেন।
৫। সংগঠনের সকল কার্যক্রমের ডিজিটাল কপি সংরক্ষন করবেন।
৬। বিভিন্ন অনুষ্ঠানকে আরো দৃষ্টি নন্দন করার জন্য প্রযুক্তি ব্যবহারের পরিকল্পনা গ্রহণ করে নির্বাহী সভায় উপস্থাপন করবেন।
মহিলা বিষয়ক সম্পাদক
১। দুস্থ,নিরক্ষর,অসহায়,নির্যাতিত মহিলাদের সংগঠিত করবেন এবং তাদের সম্পর্কে পরিষদকে অবহিত করবেন।
২। কার্যনির্বাহী পরিষদ কর্তৃক মহিলা বিষয়ক গৃহীত যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করার দায়িত্ব তার উপর ন্যাস্ত থাকবে।
নির্বাহী সদস্য
১। সাংগঠনিক যেকোনো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখবেন।
২। কার্যনির্বাহী কমিটির সকল কাজে অংশগ্রহণ ও সহযোগিতা করা সদস্যদের প্রধান কাজ।
৩। যে কোন সদস্য সংগঠনের স্বার্থে তার মতামত নির্বাহী পরিষদের সভায় উপস্থাপন করতে পারবে।
৪। বিভিন্ন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটিতে থাকা ও কাজ করা।
৫। মাসিক সভায় উপস্থিত থাকা ও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে সহায়তা করা।
অন্যান্য
১. সংগঠনের সকল সদস্যের বিপদ-আপদে সংগঠনের নির্বাহী পরিষদসহ সবাই পাশে থাকার চেষ্টা করবে।
২. সংগঠনের সকল সদস্য সংগঠনের উন্নয়নে সর্বদা সচেষ্ট থাকবে।
৩. নির্বাহী পরিষদসহ সকল সদস্যের নিঃস্বার্থভাবে কাজ করার অঙ্গীকারবদ্ধ থাকতে হবে।
৪. কোন অভিযোগ, কোন অনুযোগ, পরামর্শের জন্য নির্বাহী পরিষদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।
৫. সদস্যদের মধ্যে কোন অভ্যন্তরীণ কোন্দল থাকা যাবে না,যা সংগঠনে বিরূপ প্রভাব ফেলে।
অনুচ্ছেদ-৯
সংগঠনের তহবিল সংক্রান্ত বিষয়াবলী
১) অত্র সংগঠনের সদস্যদের প্রাথমিক সদস্য ফি এবং মাসিক ফি সংগঠনের তহবিলের প্রধান উৎস হিসেবে গণ্য হবে। তবে শুভাকাংখীদের নিঃস্বার্থ এককালীন দান, অনুদান বা সাহায্যও তহবিলের উৎস হিসেবে বিবেচিত হবে।
২) যেকোনো শুভ উপায়ে অর্জিত অর্থ সংগঠনের তহবিলে যোগ হবে।
৩) যথাযোগ্য রশিদ ছাড়া এবং কার্যনির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত ব্যতিত অত্র সংগঠনের নামে কোন চাঁদা গ্রহন করা যাবে না।
অনুচ্ছেদ-১০
অনুষ্ঠানাদি :
সম্ভব হলে বছরে একটি বনভোজন, বিশেষ বিশেষ দিবস উৎযাপন ইত্যাদি অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। তবে পারস্পরিক পরিচিতি, সৌহার্দবোধ, বন্ধন এবং ভ্রাতৃত্ববোধ সৃষ্টিই অনুষ্ঠানাদির মূল লক্ষ্য বলে বিবেচিত হবে।
অনুচ্ছেদ-১১
বিবিধ:
সংগঠনের স্বার্থে সভাপতি বা নির্বাহী পরিষদ সংগঠনের গঠনতন্ত্র সংশোধন,পরিবর্তন ও পরিমার্জন এর ক্ষমতা বহন করেন। সংগঠনের স্বার্থে সভাপতি বা নির্বাহী পরিষদ যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা বহন করেন।

চলমান পৃষ্ঠা ৯